রাজনীতিবিধেরা কেন ধর্মকে দূরে রাখতে চায়?::
>> আমরা জানি সব ধর্মেই ভালো কাজের কথা উল্লেখ আছে।
সব ধর্মই ভালো কাজ করার উপদেশ দেয়। (যদিও কিছু কিছু ধর্মের কিছু নিয়মাবলী মানবিকতার বিরুদ্ধে যায়।)
কিন্তু তবুও সকল ধর্মেই মানুষ কে মানবিক গুনাবলী অর্জনের নির্দেশ দেয়া আছে। অর্থাৎ কোন মানুষ যদি তার স্ব স্ব ধর্ম ঠিকভাবে পালন করে তবে সে প্রকৃত মানুষ রূপে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। একমাত্র ধর্মই নৈতিকতা শিক্ষা দেয়, যা কিনা অন্য কোন ভাবেই অর্জন করা সম্ভব না।
নিজ নিজ ধর্ম পালনের মাধ্যমেই সমাজে শান্তি আনা সম্ভব।
কিন্তু আমরা দেখতে পাই বর্তমানে সকল দেশের রাজনীতিবিধেরা ধর্মকে সাধারন মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখতে চায়। তারা নিজেদের ইচ্ছামত এবং সুবিধামত আইন তৈরি করে জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে চায়। কিন্তু কেন???? বরং তারা যদি মানুষকে সঠিকভাবে ধর্ম পালনের উপদেশ দেয়, তাহলে সমাজে আরো বেশি করে শান্তি আনা সম্ভব ছিল। কিন্তু তারা তা করে না।
পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মীয় সংঘাত থেকে আমরা দেখতে পাই যে, ঐ সংঘাতের পিছনে কখনোই সাধারন মানুষের মদদ থাকেনা। বরং রাজনীতি বিধেরাই এই সংঘাত জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়, মদদ দেয়। (ভারতের গুজরাটের ঘটনা তার জলজ্যান্ত প্রমান)। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঐসব রাজনীতিবিধেরা আসলে কোন ধর্মের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নাস্তিক। কারন একজন প্রকৃত ধর্মভীরু মানুষের পক্ষে এধরনের অপকর্ম এবং সংঘাত ছড়ানো অসম্ভব। একজন ধর্মভীরু জানে যে তার এই কর্মের জন্য তাকে একদিন ঈশ্বরের কাছে জবাব দিতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এসব রাজনীতিবিধেরা এমন করে?? কিসের স্বার্থে ধর্মকে আড়াল করে রাখতে চায়?? কিসের ভয়???
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন